Custom Search

Monday, April 28, 2014

গরমের তৃষ্ণায়-সৌন্দর্যে চাই ডাবের পানি

ডাবের উপকারিতার কথা কম-বেশি সবারই জানা। ডাবের পানি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি ত্বকের জন্যেও। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ডাবের পানি হচ্ছে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক—এটা সর্ব সাধারণেরও ধারণা। ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে, পানিশূন্যতা পূরণে এবং শক্তির উত্স হিসেবে কচি ডাবের পানি ভীষণ জনপ্রিয়। বলা হয়, একটি ডাবের পানিতে চারটি কলার সমান পটাশিয়াম আছে।

বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডাবের পানি খাবার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। ডায়রিয়া বা বমির পর পানিশূন্যতা দূর করতে ডাবের পানির ব্যবহার প্রচলিত। একটি সাধারণ কচি ডাবে আকার ভেদে ২০০ থেকে এক হাজার মিলিলিটার পানি থাকতে পারে। এর ৯৫ শতাংশই পানি। আর সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য লবণের পরিমাপ স্থানভেদে একেক রকম। তবে সাধারণভাবে এক লিটার ডাবের পানিতে পটাশিয়াম আছে ৩৫ থেকে ৮২ মিলিমোল, সোডিয়াম শূন্য দশমিক ৭ থেকে শূন্য দশমিক ৯ মিলিমোল ও শর্করা ১ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৮ মিলিমোল। আর এক লিটার স্যালাইনে পটাশিয়ামের পরিমাণ ২০, সোডিয়াম ৭৫ ও শর্করা ৭৫ মিলিমোল।

গবেষকেরা দাবি করেন, যাঁরা শরীরচর্চা করেন এবং প্রচুর ঘাম ঝরান, তাঁরা এক চিমটি লবণ মিশিয়ে ডাবের পানি খেলে স্পোর্টস ড্রিংকের তুলনায় অনেক বেশি উপকার পান। সাধারণ কর্মজীবী মানুষের জন্যও ডাবের পানি প্রয়োজনীয়। মাংসপেশির খিঁচুনিও দূর করতে পারে এটি। অনেক সময় সুন্দর ত্বকের জন্য ফল ও ফলের জুসকে ভালো বলে মনে করা হয়। তেলজাতীয় ও অতিরিক্ত মসলাজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়। গবেষকেরা দাবি করেন, ভালো ত্বকের জন্য কমলার জুসকে সেরা উপাদান বলা হলেও সুন্দর ত্বক পেতে ডাবের পানির উপকারিতাও কম নয়।

অতিরিক্ত গরম, রোদের তাপ ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। চেহারায় ফুটে ওঠে বয়সের ছাপ। এ অবস্থায় ডাবের পানি আপনাকে দেবে সতেজতা। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার সময় চোখ বন্ধ রাখতে হবে। ডাবের পানিতে মুখ ধোয়ার পর মুখে হালকা আঠালো ভাব থাকে। এ জন্য ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পর স্বাভাবিক পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। যাঁদের ত্বক খুব তৈলাক্ত, তাঁরা শুধু ডাবের পানিতে মুখ ধুলে হবে না, ভালো ফেস-ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তারপর ডাবের পানি দিতে হবে। কারণ, তৈলাক্ত ত্বকের লোমকূপগুলোতে ময়লা জমে বেশি।

No comments: